আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জীবনের বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন নির্বাচনের মাঠে।
প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর যেন মাহির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। তবে আপিলে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়।
এরপর ফের চাঙা হয়ে ওঠেন মাহি। প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর নিজের পছন্দে বাছাই করে নেন ‘ট্রাক’ প্রতীক।
মাহি বলেন, ‘ট্রাকই আমার জন্য বেস্ট। ’ মানুষ তাকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন, এমনটিও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি এও বলেছেন, তার আসনের নারী ভোটাররা এমনই একটি ব্যতিক্রমী প্রতীক চেয়েছিলেন, যেন সবার মধ্যে তাকে আলাদা করা যায়। তার প্রত্যাশা ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন।
তাই প্রথম দিন থেকেই গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন মাহি। হেঁটে যাচ্ছেন গ্রামের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। প্রথমেই তিনি নারীদের মন জয় করতে চাইছেন। তাই যেখানেই যাচ্ছেন নারীদের আপন ভেবে জড়িয়ে ধরছেন।
এদিকে নায়িকাকে পেয়ে গ্রামে গ্রামে সেলফি তোলারও হিড়িক পড়ে যাচ্ছে। তবে সেলফি শিকারিদের মোটেও হতাশ করছেন না মাহিয়া মাহি।
কখনও কখনও নিজেও সেলফি তুলছেন গ্রামের কিশোরী, তরুণী ও নারী ভোটারদের সঙ্গে। জড়িয়ে ধরে ভোট চাইছেন। কোথাও ছোট শিশু দেখতে পেলে নিজের কোলে নিয়ে আদর দিচ্ছেন। বৃদ্ধাদের হাত ধরে মাথায় নিয়ে চাইছেন দোয়া।
নারী ভোটাররাও আনন্দে আটখানা। অনেক নারী নায়িকাকে ধরেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ সঙ্গে সঙ্গেই কথা দিচ্ছেন ভোট দেওয়ার।
মাহির আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি দলের তিনবারের সংসদ সদস্য। নৌকার মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও মাহির দাবি, তিনি আওয়ামী লীগেরই লোক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি গ্রামে গ্রামে গিয়ে বলছেন, গরীবের সুখে-দুঃখে তিনি সব সময় পাশে থাকতে চান। সব মানুষের জন্য কাজ করতে চান।
দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মাহি জনসংযোগ শুরু করেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়ন থেকে। দুপুর পর্যন্ত তিনি পাকড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে নিজের ট্রাক প্রতীকে ভোট চান। এ সময় দুটি গাড়িতে তার সঙ্গে আত্মীয়স্বজন ও কর্মী-সমর্থকেরা ছিলেন। কখনও কখনও মাহি গাড়িতে উঠলেও জনসমাগম দেখলেই নেমে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন মাহি।
দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মাহি জনসংযোগ শুরু করেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়ন থেকে। দুপুর পর্যন্ত তিনি পাকড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে নিজের ট্রাক প্রতীকে ভোট চান। এ সময় দুটি গাড়িতে তার সঙ্গে আত্মীয়স্বজন ও কর্মী-সমর্থকেরা ছিলেন। কখনও কখনও মাহি গাড়িতে উঠলেও জনসমাগম দেখলেই নেমে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন মাহি।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির নিজের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালায় তার নানাবাড়ি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মাহি প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
সেই আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন